ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুত মোংলার ৭৮টি সাইক্লোন শেল্টার, চলছে মাইকিং

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত হানার আশঙ্কা ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার বিকেলে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্কাবস্থায় থেকে শতভাগ প্রস্তুতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের নিদের্শনা দেন। এ সময় উপমন্ত্রী বলেন, সব আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সেগুলোর চাবি দায়িত্বশীল লোকদের কাছে রাখতে হবে। যাতে সময় মতো আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয় এবং মানুষ সঠিকভাবে সেখানে উঠতে পারে। এ ছাড়া প্রত্যেক মসজিদের মাইকে সতর্কতা বার্তা প্রচারের জন্য ইমাম ও সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে গঠিত একটি মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকছেন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান। তবে সতর্কতা সংকেত ৪ ছাড়িয়ে গেলে এ সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম।
জরুরি এ সভায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও সিপিপিসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, বনপ্রহরীদের ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি নিয়ে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে এবং যে সব দর্শনার্থী এখনও বিভিন্ন নৌযানে করে বনের ভেতরে অবস্থান করছে তাদেরকেও নিরাপদে সরিয়ে দিতে বনপ্রহরীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।