নেত্রকোনায় জোড়া খুনের ঘটনায় দোকান কর্মচারীসহ আটক ৭
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/24/photo-1445694296.jpg)
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সদরে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীকে নিজ বাসভবনে দিনের বেলায় গলা কেটে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এঁরা হলেন ঝন্টু চন্দ্র দাস, রিপন সাহা, শাহেদ আলী, কাঞ্চন, জসীম, অশেষ ও শান্তির মা। এঁদের মধ্যে শান্তির মা বাড়ির গৃহপরিচারিকা হিসেবে ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে কাজ করছেন। আর বাকিরা সবাই নিহত ব্যবসায়ী অরুণ কুমার সাহার কাপড়ের দোকানের কর্মচারী।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এনটিভি অনলাইনকে জানান, নিহত ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে দুর্গাপুর পৌর শহরের মধ্যবাজারের সুবর্ণা বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী অরুণ কুমার সাহা (৮০) ও তাঁর স্ত্রী হেনা রানী সাহার (৬৭) গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুর উপজেলা ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আজ প্রতিবাদ সভা ও শোকর্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুপুরে শহীদ সন্তোষ পার্কে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সংগঠনটির উপজেলা সভাপতি রেমন্ড আরেং-এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সিতাংশু বিকাশ আচার্য্য, দুর্গাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান এমদাদুল হক খান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জহিরুল আলম ভূঁইয়া প্রমুখ।
সভায় আগামী সাতদিনের মধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরবিন্দ শেখর রায় সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে সকালে ব্যবসায়ীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে একটি শোকর্যালি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রামাণিক বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার সত্যতা জানা যেতে পারে।
জোরালোভাবে মামলাটির তদন্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করলে ঘটনা সম্পর্কে আরো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।