রাজশাহীতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ ইন্দোনেশিয়ার

শিক্ষা, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রাজশাহীতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়ার। সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো এই আগ্রহের কথা জানান। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়রের কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজশাহী কমপ্লিট সিটি। অন্য যেকোনো শহরের তুলনায় আলাদা সিটি। শিক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রে রাজশাহীর পরিবেশ চমৎকার। রাজশাহীর সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা ও কৃষি ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন হবে। রাজশাহী ও ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সিটির মধ্যে বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
এ সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি রাজশাহীর শিক্ষা, কৃষি ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার রাজস্বের ২৫ শতাংশ আসে ট্যুরিজম থেকে। রাজশাহীর ট্যুরিজমের উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
মেয়র বলেন, ইন্দোনেশিয়ার যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ একটি সিটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। এর মাধ্যমে দুই সিটির মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় হতে পারে। বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষকেরা ইন্দোনেশিয়ায় যাবে, ইন্দোনেশিয়া থেকে সেদেশের ছাত্র-শিক্ষকরা এখানে আসবে। বাংলাদেশের রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর সিল্কের প্রতি ইন্দোনেশিয়া অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যদি সিল্ক সরবরাহ করতে পারি, তাহলে তারা নেবে।
বৈঠক শেষে নগর ভবনের বঙ্গবন্ধুর কর্নার ঘুরে দেখেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাষ্ট্রদূতকে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখান। বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।