দুই নদীর ভাঙনে সর্বস্বান্ত ঝালকাঠির দিয়াকুলের মানুষ

‘নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে বহু মানুষ। গ্রামের এক মৌজায় এক হাজার ৭৬০ একর জমি ছিল। এর মধ্যে এক হাজার ২০০ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবার এখন গৃহহীন।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দিয়াকুল গ্রামের বাসিন্দারা এভাবেই সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে গ্রামের মানুষ।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় দুই নদীর তীরে আধা কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানববন্ধন করে দিয়াকুল গ্রামের শত শত মানুষ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিল দিয়াকুল গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। ছিল শিশুরাও। নিজেদের বসতবাড়ির পাশাপাশি বিদ্যালয় রক্ষা করতে চায় শিশুরা। নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে এক বাসিন্দা বলেন, ‘বর্তমানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ও জামে মসজিদ ভাঙনের মুখে আছে।’
অন্য এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার জমি, আমার বাপদাদার জমি নদীতে ভেঙে গেলে সেটা পরবর্তীতে চলে যায় ভূমিদস্যুদের কাছে। আমাদের এ দুর্দশা নিয়ে সংসদ সদস্যরা সংসদে আলোচনা করেন না।’
বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাঁরা সরকারের দেওয়া খাসজমির তালিকায় নাম ওঠাতে পারেননি।
ভূমি কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে প্রভাবশালীরা খাসজমির কার্ড নিচ্ছেন। অথচ ক্ষতিগ্রস্তদের এখনো এসব জমির খাজনা দিতে হচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের বাসিন্দা আফজাল হোসেন আকন, মো. জুলফিকার আলী হাওলাদার, ওলিউল ইসলাম আকন প্রমুখ।