ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নিল জোড়া মাথার কন্যাশিশু!
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/12/photo-1447270118.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড়ে স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল অব টোটাল হেলথ কেয়ার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুই মাথাবিশিষ্ট (জোড়া মাথা) বিরল এক কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।
বিরল এমন শিশু জন্মের চাঞ্চল্যকর খবরে উৎসুক জনতা ওই হাসপাতালে ভিড় জমায়। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক হালিমা নাজনীন মিলি এনটিভি অনলাইনকে জানান, জন্মের পর মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছে।
হালিমা নাজনীন মিলি বলেন, ‘শিশুটির জোড়া মাথা হলেও হাত-পাসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ স্বাভাবিক অন্য শিশুর মতোই। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অভিজ্ঞতায় আমরা যমজ শিশু সম্পর্কে জানলেও এমন জোড়া মাথার শিশুর জন্ম হওয়া বিরল ঘটনা।’
নবজাতক শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিনের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা চৌমুহনী এলাকায়। তিনি দিনমজুরের কাজ করেন। আর্থিক সংকট থাকায় নেহারা বেগম নামের তাঁর এক প্রতিবেশী তাঁকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে নিকটাত্মীয় চিকিৎসক হালিমা নাজনীন মিলির তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি করান।
ক্লিনিকের সেবিকা তামান্না আক্তার জানান, ফেরদৌসা বেগম (৩০) নামের ওই প্রসূতিকে বিকেল ৩টার দিকে ভর্তি করা হয়। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।
শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি হতদরিদ্র মানুষ। সুস্থভাবে সন্তান হওয়ায় অনেক খুশি হয়েছেন। তবে এমন ব্যতিক্রম সন্তানের পরবর্তী চিকিৎসা বাবদ খরচ অথবা লালন-পালনের খরচ কীভাবে মেটাবেন, এ নিয়ে তিনি এখন চিন্তিত। এ জন্য তিনি সহৃদয়বান মানুষ তথা দেশবাসীর কাছে সহায়তা চেয়েছেন।
জামাল আরো বলেন, ‘১০ বছর আগে তিনি ফেরদৌসাকে বিয়ে করেন। তানিয়া (৮) ও মীম (৪) নামে তাঁর আরো দুই কন্যাসন্তান রয়েছে।’
স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল অব টোটাল হেলথ কেয়ারের মালিকদের পক্ষে আবদুল কুদ্দুছ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শিশুটি সুস্থ আছে। তবুও আমরা তাকে জরুরি প্রয়োজনে যদি ঢাকায় নেওয়া লাগে, সে জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’