মোংলায় শিক্ষকদের বেতন উঠাতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঘুষ!

বাগেরহাটের মোংলা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের বেতন উঠানোর ক্ষেত্রে অডিট অফিসার নিখিল চন্দ্র রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার একটি স্বাক্ষরের বিনিময়ে এ টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। অন্যথায় শিক্ষকরা ব্যাংক থেকে তাদের বেতন তুলতে পারবেন না বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোংলা সরকারি কলেজের একাধিক শিক্ষক সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা অভিযোগ করে জানান, মোংলা কলেজ এমপিওভুক্ত থাকাকালীন শিক্ষকরা বেতন তুলতেন রুপালী ব্যাংক থেকে। এজন্য কাউকে ঘুষ দেওয়া লাগত না। পরে কলেজটি যখন সরকারি করা হয় তখন তাদের বেতন আসে সোনালী ব্যাংকে। আর শিক্ষকদের এ বেতন তুলতেই বাধা হয়ে দাঁড়ান উপজেলা হিসাবরক্ষণ বিভাগের অডিট অফিসার নিখিল চন্দ্র রায়। মাস শেষে শিক্ষকরা বেতন তুলতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে নিয়ে যেতেন তাঁর কাছে। কারণ তাঁর একটি স্বাক্ষর (সই) না হলে সরকারি বেতন উঠানো যাবে না। তাই স্বাক্ষর নিতে নিরুপায় হয়ে প্রত্যেক শিক্ষক তাঁকে ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত টাকা ঘুষ দেন। এ বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম বেতন তুলতে নিখিল চন্দ্র রায়কে ঘুষের এ টাকা দেওয়া হয় বলেও জানান শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে অডিট অফিসার নিখিল চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে দাবি করেন, তিনি এ ব্যাপারে কোনো টাকাই নেননি। এরপর মোবাইল ফোনে শিক্ষকদের অনুরোধ করেন যেন ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের আর না জানান।
এদিকে এ ব্যাপারে উপজেলা হিসাররক্ষণ কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বাস করেন আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ দিলে নিখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
নিখিল চন্দ্র রায় অডিট অফিসার হিসেবে ২০১৭ সালে মোংলা উপজেলা হিসাবরক্ষক বিভাগে যোগ দেন।