রাজশাহীতে বর্তমান ও সাবেক মেয়রের বাসায় ককটেল হামলা

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বাড়িতে ককটেল হামলা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরেই বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বাসায়ও ককটেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয়।
আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে নগরীর উপশহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে শোবার ঘরের বারান্দায় একটি শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ওই ঘরের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ ওই সময় ঘরে তাঁর ছোট মেয়ে অবস্থান করলেও দরজা বন্ধ থাকায় সে বেঁচে গেছে বলে জানান তিনি।
খায়রুজ্জামান আরো জানান, তিনি এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। বাড়ির লোকদের কাছে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিষয়টি জানান। তিনি ককটেল হামলার জন্য ২০-দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। ঘটনার পরে রাত ১০টার দিকে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সোমবার রাতে দুর্বৃত্তরা সাবেক মেয়র লিটনের উপশহর এলাকার বাড়িতে ককটেল হামলা চালায়। ককটেলটি বাড়ির দোতলার বেলকনিতে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ভাই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন ও বাবুকে আটক করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানার পুলিশ।
এ ঘটনার পরপরই একই এলাকায় খায়রুজ্জামানের বাড়ির উল্টোপাশে বর্তমান সিটি মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বাসায় দুই দফায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয়। এ হামলায় ককটেলও নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
মেয়রের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওই হামলা করেছে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে এবং রাত সোয়া ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাঁর বাসায় হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটায়।’ ইটপাটকেলের আঘাতে মেয়র বুলবুলের মা সাহারা বেগম মাথায় আঘাত পেয়েছেন বলে জানান রেবেকা সুলতানা।
এ ঘটনার সময় মেয়র বুলবুলের বাসার সামনে থাকা বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট-এর রাজশাহী অফিসের সাংবাদিক মাইনুল হাসান জনির একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।