শীতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার প্রকোপ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ। বৃদ্ধ ও শিশুরাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে সদ্যজাত থেকে এক বছরের মধ্যবর্তী শিশুরা। এর মধ্যে অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, বর্ষার পানি কমতে থাকায় এবং শীতের আগমনে কুয়াশা পড়ায় এ রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের তুলনায় পৌর এলাকায় এর প্রকোপ বেশি।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১১৪ জন ডায়রিয়া ও অর্ধশত নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হয় অন্তত ২০ জনকে।
হঠাৎ করে এসব রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওয়ার্ডগুলোতে বেড সংকুলান না হওয়ায় বেশির ভাগ রোগীকে মেঝেতে স্থান দিতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, পৌর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে পৌর মেয়রকে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) বুলবুল আহম্মেদ।
চিঠিতে পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে রোগীদের হাসপাতালমুখো করার এবং এ রোগ থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদেরও অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আরএমও। এসব রোগ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।