চুক্তির মেয়াদ শেষ, জানতেন না দোকানমালিকরা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/28/photo-1448715271.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গায় নির্মিত বিপণিবিতানের ১৫টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় এসব দোকান উচ্ছেদ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
বিপণিবিতানের দোকানমালিকরা অভিযোগ করে বলেন, উচ্ছেদ করা হলেও পুরো বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে। আট বছর আগে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নামে আশুগঞ্জ গোলচত্বরে তৈরি করা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মার্কেট তাদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। এতদিন পর্যন্ত এমপ্লয়িজ ইউনিয়নই ভাড়া তুলত। তারাই পুরো বছরের ভাড়ার টাকা আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে এবং এভাবে উচ্ছেদ করা হতে পারে বলে কিছু জানায়নি দোকানমালিকদের।
বিপণিবিতানে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেন কামাল। তিনি বলেন, হঠাৎ করে গত ২৮ অক্টোবর আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ দেয়। সেখানে ২৮ নভেম্বর দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিপণিবিতানের দোকান ভাড়া দেওয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ কথা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নকে জানানো হলেও ইউনিয়ন তা দোকানমালিকদের জানায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। উল্টো তিনিসহ কয়েকজন মালিকের কাছ থেকে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ২০১৪ ও ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছরের অগ্রিম ভাড়া বাবদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা নেন বলে জানান কামাল।
অগ্রিম টাকা নেওয়ার পরও হঠাৎ করে উচ্ছেদ করায় অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান দোকানমালিক কামাল।
প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন আরেক দোকানমালিক আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, এ মার্কেটের কোনো ভাড়াটিয়াকে না জানিয়ে ছয় মাস থেকে দুই বছরের অগ্রিম ভাড়া নিয়ে নেন আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা। তিনি বলেন, ‘আমার আট থেকে নয় লাখ টাকা বিভিন্ন জায়গায় বাকি পড়ে আছে। হঠাৎ দোকান ভাঙা পড়ায় আমার বিপুল পরিমাণ বকেয়া টাকা পাব না। এতে আমি ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়লাম।’
এ ক্ষতিপূরণের জন্য আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কামাল, আবদুল মান্নানসহ ক্ষতিগ্রস্ত দোকানমালিকরা।
অগ্রিম ভাড়া তোলার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি ভাড়াবাবদ কেবল ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। বাকি এক লাখ টাকা কে বা কারা নিয়েছে তা তিনি জানেন না। এ ছাড়া এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালক প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা তো নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি। কেউ ভাড়া তুলেছে কি তোলেনি সে ব্যাপারে কেউ আমাদের জানায়নি। যদি এ রকম হয়েই থাকে তাহলে কেউ যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করে তবে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’