‘কৃষকদের জন্য বিএমডিএর সুবিধা অব্যাহত থাকবে’

কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) উপদেষ্টা সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। বিএমডিএর বিভিন্ন প্রজেক্ট থেকে কৃষক যেসব সুবিধা পাচ্ছেন, তা বন্ধ করা হবে না। আগামী বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে পদ্মা থেকে পানি নিয়ে সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের কৃষকরা সমবায়ের মাধ্যমে যেন খাস পুকুরগুলো ব্যবহার করতে পারেন, সে ব্যাপারেও ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ সোমবার গোদাগাড়ীর উপজেলার সরমংলা ইকো পার্কে ‘সেচকাজে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আবদুল মান্নান।
বিএমডিএর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুর রশিদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএমডিএর উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম ওমর ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হেমায়েত হোসেন।
বিএমডিএর সরমংলা ইকো পার্কে সেচকাজে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারের বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মুহাম্মদ আবুল কাশেম।
সভায় আবদুল মান্নান আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশ থেকে দূর হয়েছে মঙ্গা। কিন্তু বিগত বিএনপি-জামায়াত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেশে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি হয়েছিল। আজ দেশে আবাদি জমির পরিমাণ কমলেও কেউ না খেয়ে মরে না; বরং বাইরের বিভিন্ন দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে কৃষিবান্ধব উল্লেখ করে আবদুল মান্নান বলেন, সরকার আজ সেচ খাতে শতকরা ৩০ ভাগ, কৃষি যন্ত্রপাতিতে ২৫ ভাগ ও আগাম আলু চাষে শতকরা ৩০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছে। এ ছাড়া গত বছরের মতো কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী যেন চালের দাম নিয়ে অপতৎপরতায় লিপ্ত না হয়, এ জন্য সরকার এরই মধ্যে আমদানীকৃত চালের ওপর শতকরা ২০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে। এতে করে কৃষকরা এবার ধান-চালের নায্যমূল্য পাবেন।
বিএমডিএর উপদেষ্টা নূরুল ইসলাম ওমর বলেন, বর্তমানে বিএমডিএর প্রি-পেইড মিটারগুলোর ব্যবহার ও মনিটরিং অনলাইনের মাধ্যমে করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে বিএডিসির গভীর নলকূপগুলো প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপকারভোগী কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেলাল উদ্দীন ও অনিল চন্দ্র।