ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/01/11/photo-1452530276.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এরই মধ্যে শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক রনির সঙ্গে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার (বড় মাদ্রাসা) এক ছাত্রের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে মাদ্রাসার কয়েকশ ছাত্র জেলা পরিষদ মার্কেটে গিয়ে রনির মালিকানাধীন বিজয় টেলিকমসহ একাধিক দোকানে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এরপর ব্যবসায়ীরা মাদ্রাসাছাত্রদের ধাওয়া করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যোগ দিলে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সংঘর্ষে এক পক্ষে আছে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। অপর পক্ষে আছে মাদ্রাসাছাত্র ও কান্দিপাড়া এলাকাবাসী। সংঘর্ষের সময় শহরের টিএরোড ও বড় মাদ্রাসার সামনে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। মাদ্রাসার সামনে কয়েকটি স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একপাশে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এখনো থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে সংঘর্ষ চলার কারণে কাঁদানে গ্যাসের শেলের ঝাঁঝ ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নারী ও শিশুসহ এলাকাবাসী। শহরের প্রধান সড়ক টিএ রোডের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
আহত ব্যবসায়ী রনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিকেলে তাঁর দোকানের সামনে এক বৃদ্ধ ইজিবাইক চালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্র দুর্ব্যবহার করে। তিনি এর প্রতিবাদ করায় দুই মাদ্রাসা ছাত্র তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই কয়েকশ মাদ্রাসাছাত্র জেলা পরিষদ মার্কেটে গিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এর পরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এম এ মাসুদকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি।
সদর মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তাপস রঞ্জন বোস এনটিভি অনলাইনকে জানান, সংঘর্ষে আট থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এখনো সংঘর্ষ চলছে।