বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি আধুনিক ও সার্বক্ষণিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় যেকোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার রংপুর জেলার পাগলাপীর খালিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের শীতকালীন মহড়া প্রত্যক্ষ করার পর দরবার হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি নিশ্চিত যে, দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় যেকোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে আমাদের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। আপনাদের প্রশিক্ষণের দক্ষতায় বলতে পারি আপনারা সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা বাহিনী।'

৬৬ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই মহড়া পরিচালিত হয়।

৬৬ পদতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার অব কমান্ডিং (জিওসি) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রংপুর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক ও ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও হেলিকপ্টার ছাড়াও আর্মি এভিয়েশন ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলো এই মহড়ায় অংশ নেয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ও মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক তাঁকে স্বাগত জানান।

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানদ্বয় এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সদস্যদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, জনগণ হচ্ছে দেশের শক্তি এবং তারা (সেনা সদস্যরা) এই জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রধানমন্ত্রী জনগণের আস্থা লাভ এবং তা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।