নেতাকে ধাওয়া দিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সম্প্রতি বহিষ্কৃত সভাপতি এম মিজানুর রহমান রানার অনুসারী দুই নেতাকর্মীকে ধাওয়া দিয়েছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় দুই নেতা-কর্মী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম শুভ্র ও ছাত্রলীগকর্মী কামারুজ্জামান লিটন আজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকের (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে বিভাগে আসেন। পরীক্ষা শেষে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অনিক মাহমুদ বনি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারীরা লিটন ও শুভ্রকে ধাওয়া দেন। এ সময় তাঁরা বিভাগের শিক্ষক ড. এস এম এক্রাম উল্যাহর কক্ষে দৌড়ে চলে যান। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আতিকুর রহমান পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে পুলিশের সহায়তায় তাঁদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশি পাহারায় শুভ্র ও লিটনকে যখন কাভার্ডভ্যানে তোলা হয়, তখন বনি ও বাকির অনুসারীরা তাঁকে মারার জন্য ধাওয়া করেন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি, কর্মী অনিক মাহমুদ বনি ও সাজ্জাদকে মারধর করেন বহিষ্কৃত সভাপতি এম মিজানুর রহমান রানার অনুসারীরা। ওই দিন রডের আঘাতে পায়ে গুরুতর জখম হন বনি। ওই ঘটনার জের ধরে আজ শুভ্র ও লিটনকে ধাওয়া দেওয়া হয় বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, ‘তাঁদের (লিটন ও শুভ্র) বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে তাঁদের ধাওয়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ শান্ত রাখাতে পুলিশি সহায়তায় তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছি।’
মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, ‘লিটন ও শুভ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নামে যদি অভিযোগ থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’