অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা মিলল হাত-চোখ বাঁধা অবস্থায়

রাজশাহী থেকে অপহৃত বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা এ আর এম আখতারুজ্জামান কচিকে ১৩ দিন পর পাওয়া গেল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মির্জাপুরে নাসির গ্লাস কারখানার পাশে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় কচিকে পাওয়া যায়।
অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা কচির ছোট ভাই এ আর এম হাসানুজ্জামান জানান, একটি মাইক্রোবাস থেকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় তাঁর ভাই কচিকে রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাত ও চোখের বাঁধন খুলে দেয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে ফোনে ঘটনাটি জানার পর মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে কচিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ঢাকার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আজ বুধবার রাতে তাঁকে রাজশাহীতে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।
অপহৃত কচির বরাত দিয়ে হাসানুজ্জামান আরো বলেন, অপহরণের পর মাইক্রোবাসের মধ্যে কচির চোখ ও হাত বেঁধে ফেলা হয়। ওই অবস্থায় ১৩ দিন তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রাজশাহী নিউমার্কেটের পশ্চিম পাশের সুলতানাবাদ এলাকার নন্দিতা প্রিন্টিং প্রেস থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে এক্সিম ব্যাংকের সিনিয়র সহকারী প্রেসিডেন্ট (বরখাস্ত) আখতারুজ্জামান কচিকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত লোকজন। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। এ ঘটনায় ওইদিন তাঁর বাবা আফছার উদ্দিন আহমেদ বোয়ালিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গত বছরের জুলাই মাসে কচি ব্যাংক থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। এরপর গত ১২ জুলাই তিনি এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের চার কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধ রাজশাহীর একটি আদালতে মামলা করেন। মামলার পর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে কয়েকবার ফোন করে তাঁকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে কচির পরিবার থেকে দাবি করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এ আর এম আখতারুজ্জামানকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়ে গত সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর একদিন পর তাঁকে পাওয়া গেল।