স্বজনের খোঁজে দূর দেশ থেকে চট্টগ্রামে
দীর্ঘ ৩৭ বছর পর স্বজনের খোঁজে চট্টগ্রামে এসেছেন নেদারল্যান্ডসে বেড়ে ওঠা সুলতানা সুতানা। দোহাজারীতে জন্মের পর চার বছর বয়সে এক দম্পত্তির সঙ্গে নেদারল্যান্ডসে পাড়ি দেওয়ায় পরিবারের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি।
শেকড়ের টান ও পরিবারের সন্ধান নিতে এখন দক্ষিণ চট্টগ্রামের দোহাজারীর অলিগলি ঘুরছেন তিনি। পরিবারের সন্ধান পেতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান সুলতানা। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করছে স্লোব বাংলাদেশ নামের একটি এনজিও।
নেদারল্যান্ডস থকে সুলতানার সঙ্গে এসেছেন স্বামী ইউরি জ্যাকব ও একমাত্র ছেলে সন্তান আবেদ আবিলা জ্যাকব।
সুলতানা জানান, জন্মের পর তাঁর মা-বাবা মারা যান। দাদা ও দাদির কাছে চার বছর পর্যন্ত বেড়ে ওঠেন। চার বছর বয়সে মুসলেম আলী খান নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে দাদি রাহিমা খাতুন তাকে তুলে দেন ডাচ দম্পতি কেয়া ও ক্রিসের কাছে। এরপর সুলতানা সুতানা পরিচয়ে বেড়ে ওঠেন তিনি। সফলভাবে পড়ালেখা শেষ করে নেদারল্যান্ডসের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। পরে বিয়ে করেন ইউরি জ্যাকভকে। জ্যাকভ একজন ডিজাইনার।
সুলতানা গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশে এসেছেন নাড়ির টানে। এরপর থেকে স্বজনের খোঁজে নেমেছেন। সুলতানার কাছে আছে একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের হলফ নামা। সেখানে তাঁর বাবা ও মায়ের মৃত্যুর কথা বলা আছে। এখন তাঁর দাদা-দাদি বেঁচে না থাকলেও ছোট ভাই বা বোন এখনো বেঁচে আছে এমন আশা তাঁর।
সুলতানার জন্ম ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রামের তৎকালীন পটিয়া মহকুমা বর্তমানে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী গ্রামে।
পরিবারে কোনো সদস্যকে খুঁজে পেলে তাঁর স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করেন নেদারল্যান্ডসে বেড়ে ওঠা সুলতানা।