টাকা না দেওয়ায় ভেঙে দেওয়া হল রাবি শিক্ষকের হাত

টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের হাত ভেঙে দিয়েছে চার হিজড়া। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন অক্ট্রয় মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার শিকার পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন। তাঁর বাম হাত ভেঙে গেছে এবং তিনি ঘাড়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনার পর তিন হিজড়াকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। এঁরা হলেন সনি, রিয়া ও শাহানা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চারজন হিজড়া মো. কামাল হোসেনের অক্ট্রয় মোড়ের বাসায় যান। তাঁরা কামাল হোসেনের দুই বছরের সন্তানকে নিয়ে জোর করে খেলা দেখাতে থাকেন। খেলা দেখানো শেষে তাঁরা পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। কামাল হোসেনের স্ত্রী তাঁদের ৮০০ টাকা দেন। কিন্তু হিজড়া সদস্যসরা পুরো পাঁচ হাজার টাকাই দাবি করেন। বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা বাচ্চাটিকে নিয়ে চলে যেতে থাকেন।
তখন কামাল হোসেন তাতে বাধা দেন। এ সময় শিক্ষককে কিল, ঘুষি মারতে শুরু করেন হিজড়ারা। একপর্যায়ে শিক্ষকের বাম হাত ভেঙে দেন তাঁরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কামাল হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
কামাল হোসেনের স্ত্রী মোছা. নীলা খাতুন বলেন, ‘টাকা চাইলে আমি ৮০০ টাকা দেই। কিন্তু তারপরও তারা আমার বাচ্চাকে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে আমার স্বামীকে তারা মেরে গুরুতর আহত করে।’
মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, অক্ট্রয় মোড় এলাকায় একজন শিক্ষকের কাছে টাকা দাবি করে তিন হিজড়া। ওই শিক্ষক টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারপিট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তিন হিজড়াকে আটক করে।
এ ব্যাপারে হিজড়া উন্নয়ন সংস্থা ‘দিনের আলো’র সভাপতি মোহনা বলেন, ‘আসলে এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে এমন অনেকেই আছে যারা আমাদের সদস্য নয়।’