মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর দাবি আদিবাসী মুক্তি মোর্চার

মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ করা প্রতিটি মানুষের জন্মগত অধিকার। প্রত্যেক জাতি-গোষ্ঠীরই নিজ নিজ মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমেই কেবল দেশের শিক্ষার হার বাড়ানো সম্ভব।
আজ শুক্রবার দুপরে রাজশাহীতে আদিবাসী মুক্তি মোর্চা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলদেশে ৭৫টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব থাকলেও বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯টিতে। ভাষা হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীরাও হারিয়ে যাচ্ছে। তাই আদিবাসী জাতিসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখতে তাদের ভাষাকেও রক্ষা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর মাতৃভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া, সব জাতিগোষ্ঠীর নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম অবিলম্বে চালু করা, নিজস্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমে ছয়টি (সাঁওতাল, ওঁরাও, গারো, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা) জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে স্থগিত হওয়া আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের নিজস্ব মাতৃভাষা কার্যক্রম অবিলম্বে চালু করা, প্রতিটি জেলা এবং বিভাগীয় শহরে আদিবাসী ভাষা ও সংস্কৃতি একাডেমি অবিলম্বে স্থাপন করা, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার উন্নয়ন ও বিকাশের ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনার জন্য আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- আদিবাসী মুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন সরদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য হিংগু মুরমু, রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি বাবুলাল মুরমু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ মাহাতো।