গাজীপুরের পৃথক ঘটনায় লুট হওয়া গার্মেন্টের শার্ট এবং প্রায় দেড় কোটি টাকার তামার তার ও পাত উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আট ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গতকাল শনিবার দুপুরে গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদ এসব তথ্য জানান। এ ছাড়া তিনি ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের টাকা ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করার কথাও জানান। 

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর মহানগরীর সাইনবোর্ড এলাকার রিয়াজ এক্সপোর্ট অ্যাপারেল লিমিটেডের প্রায় ৩০ লাখ টাকার আট হাজার ৯৮০ পিস গার্মেন্টের শিপমেন্টের জন্য তৈরি করা শার্ট কাভার্ডভ্যানযোগে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে লুট হয়। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় মামলা করা হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের সরপাইতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের মো. মোজাম্মেল হক (৩৪) ও তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই এলাকার মো. কামাল হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় লুট হওয়া মালামাল।

এদিকে, গত ১ মার্চ টঙ্গী থানা পুলিশ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে টঙ্গীর চেরাগআলীর এইজি ট্রান্সফরমার কোম্পানি থেকে লুট হওয়া প্রায় দেড় কোটি টাকার ১৫ টন তামার তার ও পাত উদ্ধার করে এবং ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলো—মানিকগঞ্জের সোহরাব হোসেন (৪০), টাঙ্গাইলের আতাউর মিয়া (২৮), বরিশালের কাউসার সরদার (২৩), শরীয়তপুরের মো. কামাল (৩৫), ঢাকার শামীম আকন্দ (৩৫) ও একই জেলার মো. মজিবুর রহমান।

এ ছাড়া কালিয়াকৈরে এটিএম বুথে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুই ডাকাত মিন্টু (২৮) ও ইমনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কালিয়াকৈরে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের টাকা ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি এবং আমরা বুঝতে পেরেছি, কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল। সেটা আমরা পরে জানাব।’ 

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।