ধর্ষণচেষ্টার সময় অঙ্গ কর্তন!

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ধর্ষণের চেষ্টাকালে এক ব্যক্তির যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেছে এক গৃহবধূ। পরে তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকার লোকজন। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম আবদুল মান্নান। তিনি যাত্রী নিয়ে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। তার বিরুদ্ধে কাঁঠালিয়া থানায় দালালির অভিযোগও রয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, আবদুল মন্নান বেশকিছু দিনধরে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ প্রস্তাবে তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে কাঁঠালিয়া থানায় চুরির মিথ্যা অভিযোগ দেয় মান্নান। মামলার কারণে পলাতক রয়েছেন তাঁর স্বামী। এ সুযোগে আবদুল মন্নান শনিবার রাতে তাঁর বাড়িতে এসে দরজায় ধাক্কা দেয়। দরজা খুলে তিনি মান্নানকে দেখতে পান। কিছু বুঝে না উঠতেই মান্নান তাঁর মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার্থে ছুরি দিয়ে মান্নানের যৌনাঙ্গে আঘাত করে। উভয়ের চিৎকারের প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মান্নানকে পিটুনি দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাঈনুল হোসেন জানান, মান্নান বখাটে প্রকৃতির লোক। তার সঙ্গে কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের সখ্য রয়েছে। এলাকার নিরীহ লোকের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করে সে। অনেক সময় থানায় তদবির করে টাকার বিনিময়ে আসামি ছাড়িয়ে নেয় মান্নান। এক কথায় সে থানার একজন বড় দালাল।
মাঈনুল বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে আহত মান্নানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে পাঠিয়ে দেই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রোববার দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।’
কাঁঠালিয়া থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মালেক বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।