‘পোলট্রিশিল্পে বিনিয়োগ ২৫ হাজার কোটি টাকা’

রাজশাহীতে পোলট্রিশিল্পের ওপর প্রতিবেদনবিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে একমাত্র পোলট্রিই বড় ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে, কিন্তু কমছে আবাদি জমি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। ডিম, দুধ, মাছ ও মাংস অন্যতম প্রধান কয়েকটি পুষ্টিকর খাদ্য। অথচ মাছের প্রাকৃতিক জলাশয়, খাল-বিল, নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, গরু-ছাগলের উৎপাদনও আশানুরূপ নয়। তাই স্বল্পমূল্যে প্রাণিজ আমিষের জোগান নিশ্চিত করতে হলে পোলট্রিশিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, আশির দশকে এ শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল দেড় হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালের চাহিদা পূরণ করতে হলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে পোলট্রিবিষয়ক প্রতিবেদনের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কিন্তু সেগুলোর বেশির ভাগই ঘটনানির্ভর। এ জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্যের অপ্রতুলতা এবং পোলট্রিশিল্প সম্পর্কে প্রতিবেদকদের পরিপূর্ণ ধারণার ঘাটতি থাকাকে প্রাথমিকভাবে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে এ তথ্য চাহিদা পূরণে প্রতিবেদকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনেরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার রাজশাহীর স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে দিনব্যাপী ‘পোলট্রি রিপোর্টিংবিষয়ক কর্মশালা’র আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি-বিপিআইসিসি’। মিডিয়া ও গণমাধ্যমবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াচডগ বাংলাদেশ’-এর সহযোগিতায় রাজশাহীর বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৩২ জন সংবাদকর্মী এতে অংশ নেন।
কর্মশালার সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক হাইকমিশনার অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান খান। কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, যমুনা টেলিভিশনের বিজনেস এডিটর সাজ্জাদ আলম খান তপু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক শশী আহমেদ ও জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. জুলফিকার মো. আকতার হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ‘ওয়াচডগ বাংলাদেশের’ নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন শাহিন।
কর্মশালা উপলক্ষে আয়োজিত পোলট্রিবিষয়ক রিপোর্টিং প্রতিযোগিতায় প্রথম হন চ্যানেল একাত্তরের প্রতিবেদক রাশিদুল হক রুশো, দ্বিতীয় দৈনিক সানশাইনের প্রতিবেদক ইলিয়াস আরাফাত, তৃতীয় দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদক জিয়াউল গনি সেলিম, চতুর্থ দৈনিক মানবকণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরোপ্রধান আহসান হাবীব অপু, পঞ্চম দৈনিক সোনালী সংবাদের বার্তা সম্পাদক আনোয়ারুল আলম ফটিক এবং ষষ্ঠ পুরস্কার পান যৌথভাবে উত্তরা প্রতিদিনের প্রতিবেদক ফেরদৌস সিদ্দিকী ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলার কথার শিক্ষানবিশ প্রতিবেদক নিহাদ হাসান সরল।