অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ

নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) ও বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এসপি ও ওসির সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ এ সময় দেওয়া হয়।
এ ছাড়া শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন আজ হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ মে সেলিম ওসমানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জমা দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
তবে সেই প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। গত ২৯ মে প্রতিবেদনটিকে ‘দায়সারা’ বলেও মন্তব্য করেন আদালত। সেদিনই এ বিষয়ে পুনরায় শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
গত ১৩ মে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছেন—এমন অভিযোগ করে এলাকাবাসীর সামনে সেলিম ওসমানের নির্দেশে তাঁকে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়। সমবেত জনতার কাছে করজোড়ে মাফ চাইতেও বাধ্য করা হয় ওই প্রধান শিক্ষককে। পরে সংসদ সদস্যের নির্দেশে প্রধান শিক্ষককে পুলিশের হেফাজতে স্কুল থেকে বের করা হয়। পরে ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
এ ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওঠে সমালোচনার ঝড়। এর একপর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।