ভুয়া চিকিৎসক র্যাব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিডি!

তিনি একাধারে চিকিৎসক, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্য, একটি দৈনিক পত্রিকার বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান। তবে সত্যিকার অর্থে নয়। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি একজন প্রতারক। খুলনায় আতিয়ার রহমান নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার আতিয়ার রহমান নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে খোদ খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি)। যা তদন্ত শেষে মামলায় রূপান্তর হবে বলে জানিয়েছেন কেএমপি কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি।
গতকাল সোমবার করা এ জিডিতে (১৯/০৬/২০১৬/ ১০১২) বলা হয়েছে, আদেশ না দিলেও নিজ পত্রিকায় কেএমপির একটি দরপত্র সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে আতিয়ার রহমান। এতে কেএমপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। কেএমপি পক্ষে জিডি করেন কেএমপির সহকারী কমিশনার কোরাইশী মাসুদ হাসান।
খুলনা থানার সহকারী কমিশনার কনক কুমার দাস বলেন, জিডিটি একজন দারোগা তদন্ত করছে, তদন্তু শেষ হলে আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আতিয়ার রহমান তাঁর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবাষির্কীতে একটি অনুষ্ঠান করে নিজ নিজ পেশায় অবদানের জন্য র্যাব ৬-এর অধিনায়কসহ খুলনা পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের পদক প্রদান করেন।
পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি ও জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানকেও পদক দেওয়ার ঘোষণা থাকলেও তাঁরা যাননি। পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি স্বীকার করেন, তাঁকে পদক নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
আতিয়ার রহমান এর আগে ডা. এ রহমান নামেও পরিচিত ছিলেন। র্যাব ৬-এর পোশাক পরা অবস্থায় ভুয়া র্যাব সদস্য হিসেবেও তিনি আটক হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি একটি জাতীয় পত্রিকার বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান হিসেবে পরিচয় প্রদান করেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে আতিয়ার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কেএমপির বিজ্ঞাপনটি ভুল করে ছাপা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। র্যাবের হাতে আটক আর প্রতারণার কথা জানতে চাইলে আতিয়ার ফোন কেটে দেন।
দুপুরের পর আতিয়ার রহমান খুলনা প্রেসক্লাবে এসে স্বীকার করেন, র্যাবের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় একবার আটক হয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, শত্রুরা তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রপচার করছে।