মোংলায় যুবলীগের হামলায় আহত ছাত্রলীগের ৩ নেতা

মোংলায় যুবলীগ নেতার মারধরের শিকার হয়েছেন মোংলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন। আজ রোববার মোংলা কলেজে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের অভিযোগে যুবলীগ নেতা মাখন মিজানকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মাখন মিজান মোংলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি। ঘটনায় আহত হয়েছেন মোংলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রানা, সহসভাপতি রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল।
ঘটনার পর থেকে কলেজ রোড এলাকায় কলেজছাত্র ও ছাত্রনামধারী বহিরাগতদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মোংলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রানা জানান, ক্লাস চলার সময়ে কলেজের ভেতরে ও গেটের সামনে বহিরাগতদের আড্ডা না দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও বহিরাগতরা কলেজের ভেতরে ঢুকে ও গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। রোববার দুপুরে কলেজের সামনে থাকা বহিরাগতদের সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। তারা চলে না গিয়ে যুবলীগ নেতা মাখন মিজানের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সম্পাদক রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক সোহেলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিনি নিজেও হামলার শিকার হন বলে জানান রানা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাখন মিজানের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে সানি, রাসেল ও সোহেলের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় মাখন মিজানকে দুপুরে কলেজের সামনে থেকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাখন দীর্ঘদিন ধরে কলেজ রোডসহ আশপাশ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মিজান একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলও খেটেছেন। এ বিষয়ে মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুর এলাহী বলেন, ‘মাখনের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত (রোববার বিকেল) কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে মাখনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।