নরসিংদীতে শীতকালীন আগাম সবজিতে বাজার সয়লাব

নরসিংদীর পাইকারি বাজারগুলোতে শীতকালীন আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। হরেক রকম সবজিতে বাজারগুলো এখন সয়লাব। তবে বৃষ্টিতে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির দেখা নেই এসব বাজারে।
কৃষি বিভাগ বলছে, বৃষ্টির ফলে সবজির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
এলাকা ঘুরে জানা যায়, জেলার প্রতিটি উপজেলায় চলছে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ। এসব উৎপাদিত সবজি এখন ক্ষেত থেকে জেলার বিভিন্ন পাইকারি বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে। জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বরৈচা বাজার, নারায়ণপুর বাজার, জংলি শিবপুর, মরজাল বাজার ও শিবপুর বাজারগুলো শীতকালীন সবজিতে এখন সয়লাব। কৃষকরা ভ্যানে করে লাউ, ঝিঙ্গা, পেঁপে, কাঁকরোল, ঢেঁড়স, বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি বাজারে নিয়ে আসছে। বাজারে চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।
মরজাল এলাকার কৃষক রমজান মিয়া জানান, সম্প্রতি বৃষ্টির ফলে বেশির ভাগ কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে এখনো এখানকার উৎপাদিত বাঁধাকপি, ফুলকপির দেখা মেলেনি। তবে লাউ, ঝিঙ্গা, বেগুন, পেঁপেসহ অন্যান্য সবজির ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ২৫ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, নরসিংদীর মাটি পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় এখানকার সবজির ফলন তুলনামূলক অন্যান্য জেলার চেয়ে ভালো। আর ঢাকার পাশের জেলা হওয়ায় এই জেলায় উৎপাদিত সবজির চাহিদাও বেশি। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ৪০ শতাংশ সবজির চাহিদা মিটিয়ে থাকেন নরসিংদীর চাষিরা।
নরসিংদী কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক লতাফত হোসেন জানান, এবার দুই হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন আগাম সবজির চাষ খুব ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না হলে সবজির ফলন আরো ভালো হবে। আর কৃষকরাও তাদের ঘাম ঝরিয়ে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবেন। তাই এখানকার সবজি চাষিরাও খুশি।