জামিন না দেওয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকচালক ও সহকারীদের জামিন না দেওয়ায় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছে পঞ্চগড় জেলা বাস-ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এসব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের করতোয়া নদীর ব্রিজের ওপর ট্রাক টার্মিনাল ও তেঁতুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে এলোমেলোভাবে যানবাহন রেখে মহাসড়ক অবরোধ করে।
গত ১৯ মে রাতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনকারী পাঁচটি ট্রাকের আটজন চালক ও সহকারীদের আটক করে জেলা টাস্কফোর্স। ওই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিদের অবৈধভাবে আনা আড়াই হাজার ভারতীয় বাইসাইকেল পরিবহনের অভিযোগে এদের আটক করা হয়। এসব পণ্যের মূল্য আড়াই কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
আজ সকালে অভিযুক্ত ট্রাকচালক ও সহকারীদের আদালতে হাজির করা হয়। দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে এদের পাঁচজনের জামিন মঞ্জুর করা হলেও তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো দুপুর থেকে মহাসড়ক অবরোধের ডাক দেয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অবরোধ বন্ধ ঘোষণার আধাঘণ্টা পর আবারও অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে পরিবহন শ্রমিকরা।
মহাসড়ক অবরোধের ফলে ভারি যানবাহনের পাশাপাশি বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলও চলাচল করতে পারছে না। এতে শহরের দুইপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চললেও পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকচালক ও তাঁদের সহকারীদের আটকের প্রতিবাদ জানিয়ে পঞ্চগড় জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রেনু মিয়া বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের লোকদের জেল হাজতে না পাঠিয়ে শ্রমিকদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’ শ্রমিকদের জামিন না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন জেলা ট্রাক-ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা জসিদুল ইসলাম জসিম।
অবরোধ প্রত্যাহারে মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।
তবে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।