অজ্ঞান করে অপহরণ, আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে বখাটেরা তুলে নিয়ে যায়। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন একটি দিঘির পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পরে গুরুতর অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। এরই মধ্যে স্কুলছাত্রীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ঈশিতা দাস।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই স্কুলছাত্রীর পরিবার নিখোঁজের ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছিল বলে এনটিভি অনলাইনকে জানান ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসান। তিনি আরো জানান, তার পরই পুলিশ এ ব্যাপারে মাঠে নামে। আজ সকালে স্কুলছাত্রীকে পাওয়া যায়। এখন পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহে আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘স্কুলছাত্রী উদ্ধারের পর আমরা তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। তার পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হবে কেওড়া গ্রামের মিরাজ হোসেনকে। এ ছাড়া এ ঘটনায় মিরাজের অন্য সঙ্গীদেরও আসামি করা হবে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।’
স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে স্কুলের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে গতকাল সকালে স্কুলে আসে ওই ছাত্রী। এ সময় স্কুলের সামনে থেকেই চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় মিরাজ ও তার বন্ধুরা।
পরে নির্জন একটি স্থানে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয়ে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে স্কুলছাত্রী একজনের মোবাইল থেকে বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।