‘পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ী খুন’, পরিবারের অভিযোগ অপহরণ

নিখোঁজের ছয় দিন পর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে আমিনুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশের ধারণা, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে তাঁকে খুন করা হয়েছে।
নিহত আমিনুলের বাড়িও আইলহাস গ্রামে। তিনি পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। স্বজনদের অভিযোগ, আমিনুলকে কৌশলে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার এবং এক নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে।
আমিনুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা খাতুন জানান, ১৩ ডিসেম্বর একটি হিউম্যান হলারে করে ঝিনাইদহে কাঠ বিক্রি করতে যান। ওই সন্ধ্যায় বাড়ির উদ্দেশে একই যানে রওনা দিলেও গ্রামের কাচারি বাড়ির কাছে নেমে পড়েন তিনি। চালক মহিদুল তাঁদের এ তথ্য জানিয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় ১৪ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি এবং পরে ১৮ ডিসেম্বর এজাহার করা হয়। এজাহারের পর পুলিশ গ্রাম থেকে জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও আভা রানী নামের এক নারীকে আটক করে। আজ সকাল ৯টায় গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে পরকীয়ার কারণে আমিনুল খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক আভা রানীকেই এ ক্ষেত্রে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঘটনার দিন আভা রানী ও আমিনুলের মধ্যে মোট সাত দফা কথা হয়েছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে আভা রানীর দুই ছেলে সুজন ও সঞ্জয়কে আটক করা হয়েছে। আর কেউ জড়িত আছে কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।