ডিইউজে সভাপতি সোহেল-তপু, সম্পাদক আকতার
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে আজ সোমবার (১১ মার্চ) ছিল ভোটগ্রহণ। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোট শেষে জানা গেল ফলাফল। নতুন কমিটিতে সমান ৮১২ ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম খান তপু। এ পদে অপর প্রার্থী আবদুল মজিদ পেয়েছেন ১৭৭ ভোট। আর বিপুল ব্যবধানে আবারও সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন আকতার হোসেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আজ রাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন পেয়েছেন ৬৩৭ ভোট এবং তার নিকটবর্তী জিহাদুর রহমান জিহাদ পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এ পদে আরও লড়েছেন খায়রুল আলম ও উম্মুল ওয়ারা সুইটি।
এর আগে সোমবার সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচিত নজরুল ইসলাম মিঠু। তিনি পেয়েছেন ৭৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসলাম সানী পেয়েছেন ৫৮৬। এই পদে আরও লড়েছেন হামিদ মোহাম্মদ জসিম ও আশরাফুল ইসলাম।
সহসভাপতি পদে ছিলেন ইব্রাহিম খলিল খোকন। তিনি পেয়েছেন ৫২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাঁধন কুমার সরকার পেয়েছেন ৪৮৪। আরও লড়েছেন মো. রেজাউর রহিম, রফিকুল ইসলাম সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর।
যুগ্ম সম্পাদক পদে বিজয়ী মো. শাহজাহান মিঞা। তিনি পেয়েছেন ৫১৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আছাদুজ্জামান পেয়েছেন ৫১২ ভোট। আরও লড়েছেন এস এম সাইফ আলী, জাকির হোসেন ইমন, ফজলুল হক বাবু, ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী।
কোষাধ্যক্ষ পদে ৫৫০ ভোট পেয়ে জিতেছেন সোহেলী চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল কারীম পেয়েছেন ৫২০ ভোট। এ পদে আরও লড়েছেন সাকিলা পারভীন, মীর আফরোজ জামান।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৯৪৭ ভোট পেয়ে জিতেছেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন রাজু হামিদ ৪৮০ ভোট। এ পদে আরও লড়েছেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৩০৯ ভোট।
আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে আসাদুর রহমান ৮৭৬ ভোটে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুম আহাম্মেদ পেয়েছেন ৫৪৫। আরও লড়েছেন রবিউল হক।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুহাম্মদ মামুন শেখ ৭৪৮ ভোটে জিতেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমানউল্লাহ আমান ৫০৯ ভোট। এই পদে ৪৮৬ ভোট পেয়েছেন এম শাহজাহান সাজু।
দপ্তর সম্পাদক পদে ছিলেন ৭১৭ ভোটে বিজয়ী জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম ওবায়দুর রহমান পেয়েছেন ৫১৩, আইরিন নিয়াজি মান্না পেয়েছেন ৪৪৭।
কল্যাণ সম্পাদক পদে শাহজাহান স্বপন পেযেছেন ৭১৬। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৪৬৬। আরও লড়েছেন রেহানা পারভীন। পেয়েছেন ৪১৫ ভোট।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দুলাল খান পেয়েছেন ৫৭৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আসাদুজ্জামান (লিমন আহমেদ) পেয়েছেন ৪৪২ ভোট। আরও লড়েছেন ইস্রাফিল হাওলাদার পেয়েছেন ও এস এম বাবুল হোসেন।
নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে সুমি খান ৬০৭ ভোটে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুরাইয়া অনু পেয়েছেন ৫২৮ ভোট। এ ছাড়া দীপা ঘোষ রীতা পেয়েছেন ৫০৭।
নির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে আটটিতে ৭৪১ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন জি এম মাসুদ ঢালী, দ্বিতীয় নাসরিন বেগম গীতি (৬৯৪), তৃতীয় এ এম শাহজাহান মিয়া (৬৪৭), চতুর্থ আনোয়ার সাদাত সবুজ (৫৪৬), পঞ্চম সাজেদা হক (৫২৯), ষষ্ঠ আহমেদ মুশফিকা নাজনীন (৫০৯), সপ্তম রারজানা সুলতানা (৫০৩) ও অষ্টম অনজন রহমান (৪৮৮)।
এই পদে আরও লড়েছেন আতাউর রহমান জুয়েল, আনোয়ার হোসেন আকাশ, এম এ রহিম রনো, এম জহিরুল ইসলাম, এস এম মোশাররফ হোসেন, নাঈম মাশরেকী, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী হিমেল, মো. কিরণ মোস্তফা, মো. মেহেদী জামান, মো. শাহীন আলম, মো. সাজেদুল ইসলাম রাজু, মোহাম্মদ খসরু নোমান, রাগেবুল রেজা, শহিদুল ইসলাম স্বপন, শাহিদুর রহমান শাহিদ, সাজ্জাদ হোসেন চিশতী ও সালাম মাহমুদ।