ঈদের দিনে মেট্রোরেলসহ কিছু বিনোদনকেন্দ্র বন্ধে হতাশ দর্শনার্থীরা
রাজধানীতে ঈদ মানে নামাজের পর পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরি। ঈদুল ফিতরের দিনে বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে ছিল উপচেপড়া ভিড়। তবে মেট্রোরেলসহ কিছু বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় হতাশ দর্শনার্থীরা। নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও অনেকেই মেট্রোরেলে ঘুরতে এসেছেন। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা শহরে মেট্রোরেলে চড়ে তারা তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে চান।
তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদে আশানুরূপ যাত্রী পাওয়া যাবে না। এতে খরচ বাড়বে। এ ছাড়া কর্মীর সংখ্যাও কম। ফলে এদিন মেট্রোরেল চালু রাখলে প্রায় সবাইকে ঈদ বাদ দিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। সব মিলিয়ে তাই ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রবিন ইসলাম বলেন, ‘মেট্রো হলো গণপরিবহণ। এটি শুক্রবারই বন্ধ রাখা উচিত না। আর ঈদের দিন তো অবশ্যই না। ঈদের সময় বেশিরভাগ মানুষ ঢাকার বাইরে চলে যাওয়ায় গাড়ি পাওয়া যায় না। মেট্রো থাকলে যারা ঢাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হবেন তাদের যাতায়াতে সুবিধা হতো। আমি মিরপুর ও উত্তরা যাব ভেবে সপরিবারে বের হয়েছি, এসে দেখি মেট্রো বন্ধ।’
বিভিন্ন স্টেশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর অথবা একটু দূরবর্তী এলাকার স্টেশনগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণিতে আসতে চাওয়া মানুষ বেশি ভিড় করছেন। এই এলাকাগুলোয় রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রের সিংহভাগ অবস্থিত। যেখানে প্রতিদিনসহ সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও জাতীয় দিবস ও দেশের বৃহৎ উৎসব যেমন ঈদের সময় বেশি মানুষ ঘুরতে বের হন।
উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে ঢাবির স্টেশনে আসতে চাওয়া রোকেয়া বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। আশা করেছিলাম, মেট্রোরেলে চলে খুব দ্রুততম সময়ে ঢাবির টিএসসিতে পৌছাঁতে পারবো। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম মেট্রো বন্ধ। ঈদের মতো উৎসবে যদি মেট্রো বন্ধ থাকে তাহলে আমরা যারা রাজধানীতে ঈদ করি, তাদের চলাচলে কিছুটা অসুবিধা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল আগেই। গত ঈদেও এ সার্ভিস বন্ধ ছিল। কাজেই বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। আর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে মেট্রোরেল চলাচল দুদিন বন্ধ থাকছে। এরপর শনিবার থেকে সময়সূচি মেনেই চলবে রেল।
নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিকে মেট্রোরেলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার যাত্রী চলাচল করছেন। রমজানের আগে এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখের কাছাকাছি। তবে ১৬ রমজান থেকে মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বাড়ানোর পর যাত্রীর সংখ্যা বাড়ে। কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ করে যাত্রী চলাচল করেছেন।