ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/06/05/rajoir_road_block_pic.jpg)
নরসিংদী মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হাসানের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
আজ বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহীদ মাহবুবুল চেয়ারম্যান সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলটি করা হয়।
মিছিলে নিহত মাহবুবুলের স্বজন, এলাকাবাসী, রাজনৈতিক নেতারাসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। ৬টার দিকে পাঁচদোনা গ্রিনসিটি মার্কেটের সামনে থেকে শত শত নেতাকর্মীও সমর্থকদের সমন্বয়ে মিছিল বের করেন। মিছিলটি ঢাকা-সিলেট মহা-সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন।
এ সময় সভায় বক্তারা বলেন, কাদের ইসারায় হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে তা সবাই জানেন। হত্যার মদদদাতারা নিজেদের আড়াল করতে বিভিন্ন সংস্থায় তদবির চালাচ্ছে। হত্যাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং মাদক ব্যবসায়ী। তাদের গড ফাদার ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্ত। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
পাঁচদোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, নুরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকারিয়া, নিহতের ছোট ভাই হাফিজুল উল্লাহ, চরদিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শাহীন, নুরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকারিয়া, মহিষাশুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন মনিরসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগীসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গত ২৮ মে মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুবুল হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। হত্যার দুদিন পর তাঁর ভাই হাফিজুল উল্লাহ মাববদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিকের মেয়েজামাই মেহেরপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যঅকাণ্ডের ঘটনায় রাসেল মাহামুদসহ ৮জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।