লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন দাবি
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি টানা দুই বছর লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হলে সেইসব কোম্পানি বোর্ড ভেঙে পুনর্গঠন করার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে পতন রোধে শিগগিরই সিকিউরিটিজগুলোতে ফোর্স সেল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভবনের সামনে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন সম্রাট।
সমাবেশে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার উন্নয়ন স্বার্থে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে মোট ১১টি সুনির্দিষ্ট দাবিদাবা তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- বিএসইসির চেয়ারম্যান ও আইসিবির চেয়ারম্যানকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন যোগ্য চেয়ারম্যান নিয়োগ করে পুঁজিবাজারকে বাঁচাতে হবে; বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে গেইন-ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে; বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে (তদন্ত ও অসময়ে জেড গ্রুপে প্রেরণ ইত্যাদি); পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর বিধান সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ কোম্পানির জেড ক্যাটাগরিতে গেলে সর্বোপরি বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়; কোম্পানিগুলোকে আয়ের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে; ব্যাংক, ফাইন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবি সহ পুঁজিবাজারে তাহাদের যতটুকু বিনিয়োগ করার কথা তা শতভাগ কার্যকর করতে হবে; টাস্ক ফোর্সের সংস্কারগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দ্রুত জানাতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করে বিনিয়োগকারীকে ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে; কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ ৩০ শতাংশ অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে; বিএসইসির দায়িত্ব অন্তত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার বিনিয়োগ নিয়ে আসা; পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হলে তাহার বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে এবং ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।