দ্রুত নির্বাচন সবার জন্যই মঙ্গল : আমিনুল হক
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/09/aaminul.jpg)
বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, সেই নির্বাচনটি যত দ্রুত দেওয়া হবে, তা সবার জন্যই মঙ্গল।’
আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও পলিটেকনিক মাঠে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
এ সময় সারা দেশে চলমান যৌথ বাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন আমিনুল হক। তিনি চলমান অভিযানে সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
সম্প্রতি সারা দেশে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আমিনুল হক অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার গঠনের ছয় মাস পরে এ ধরনের ভাঙচুর কেন? আমরা একটি সভ্য জাতি। এর দায়ভার কে নেবে? এই দায়ভার আপনাদেরকেই (অন্তবর্তী সরকার) নিতে হবে। কারণ, এ ধরনের বিশৃঙ্খলা আমরা জাতি হিসেবে কখনোই প্রত্যাশা করি না।’
এসব বিশৃঙ্খলা দূর করতে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা সংস্কার করুন, তবে যৌক্তিক সময়ের ভেতরে করুন। বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, সেই নির্বাচনটি যত দ্রুত দেওয়া হবে, তা সবার জন্যই মঙ্গল।’
অন্তবর্তী সরকার গত ছয় মাসে কী করল, এমন প্রশ্ন রেখে আমিনুল হক বলেন, ‘বর্তমানে প্রশাসনে কোনো স্থিতিশীলতা আসেনি। আজকে দেশের দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিচার বিভাগেও গতিশীলতা ফিরে আসেনি। তাহলে গত ছয় মাস ধরে তারা কী করল?’
আমিনুল হক আরও বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার যে রূপরেখা দিয়েছেন, সেই রূপরেখা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন একটি নির্বাচিত সরকার এদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবে। সেই নির্বাচিত সরকার ৩১ দফার রূপরেখা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘সংষ্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যুগের পর যুগ চলতে থাকবে। তার মানে কি যুগের পর যুগ নির্বাচন হবে না? নির্বাচন হতে হবে। গত ১৫ বছর ধরে এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। ভোট বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার। তারা ভোট দিতে চায়। ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চায়।’
শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি আহ্বায়ক আইনুল ইসলাম চঞ্চলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এ বি এম এ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আকতার হোসেন,আতাউর রহমান, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, তহিরুল ইসলাম তুহীন, হাজী মো. ইউসুফ, মো.শাহআলম, মহানগর সদস্য এল রহমান, মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, শামীম পারভেজ, মনিরুল আলম রাহিমী, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, তাসলিমা রিতা, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শেখ ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম রাজা, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা, তাতীদল সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, ছাত্রদল মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান লিপকন, আজিজুর রহমান মুছাব্বির।
এ ছাড়াও তেজগাঁও থানা বিএনপি আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান রতন, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সি এম আনোয়ার হোসেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল আলম মন্টু, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, উত্তরাপূর্ব থানা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এফ ইসলাম চন্দন, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, তুরাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলী, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মীর কামাল হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, শিল্পাঞ্চল থানার সাবেক যুবদলনেতা আলাউদ্দিন টুটুলসহ অন্যান্যরা।