‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য’

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ‘সরকার টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই জলবায়ু বিনিয়োগ ফলপ্রসূ করতে কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। এ ছাড়া স্থানীয় সম্প্রদায় ও বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও এটি জরুরি।’
গতকাল রোববার (২ মার্চ) পানি ভবনে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং নরওয়ের সাবেক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী এরিক সোলহেইমের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের জলবায়ু সহযোগিতা জোরদার, কার্বন বাজারের সুযোগ অন্বেষণ ও বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। পুনর্নবায়ন, আগ্রাসী প্রজাতি নিয়ন্ত্রণ ও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের বিষয়েও মতবিনিময় হয়। বাংলাদেশের বনায়ন ও সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় এ সময় তারা সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এমনকি, টেকসই বন ব্যবস্থাপনা ও ইকো-রেস্টোরেশন কর্মসূচির প্রস্তাবও দেন।
আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে জলবায়ু উদ্যোগে যুক্ত হতে একটি কাঠামোবদ্ধ পন্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রতিনিধিদল। কার্বন ক্রেডিট প্রকল্প ও নবায়নযোগ্য শক্তি সমাধানে বিনিয়োগের সম্ভাবনায় জোর দেন তারা।
প্যারিস চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী জাতীয় কাঠামোর গুরুত্ব তুলে ধরে দেশের কার্বন রেজিস্টার ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব রাখে দলটি।
উভয়পক্ষ সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে জলবায়ু কর্মকাণ্ডকে দ্রুততর করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একমত হন।