সাভারে নারী হেনস্তাকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা

রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে হিজাব পড়তে বাধ্য করতে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে নারীদের হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার খালিদ মাহমুদ ওরফে হৃদয় খানের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আলম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুয়েল মিঞা।
তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল সোমবার বিকেলে সাভারের আমিনবাজারের হিজলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খালিদ মাহমুদ ওরফে হৃদয় খানকে। খালিদ মাহমুদ পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি থানার ভরতকাঠি গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তার পরিবার বাসা ভাড়া নিয়ে সাভারের আমিনবাজারের হিজলা মধ্যপাড়া গ্রামের টমেটো বাবুলের বাড়িতে বসবাস করতেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মুস্তাকিম বিল্লাহ জানান, খালিদ মাহমুদ ওরফে হৃদয় খানকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আগামীকাল তার শুনানির কথা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের বেশ ধরে খালিদ মাহমুদ ওরফে হৃদয় খান রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন এবং হিজাব না পরা নারীদের নানাভাবে হেনস্তা করতেন। সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে তা আবার টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন।

পুলিশ বলছে, বেশ কয়েকটি ভিডিও তাদের সংগ্রহে রয়েছে; সেখানে পথচারী নারীদের উদ্দেশ্য করে ওই যুবককে বলতে শোনা গেছে, হিজাব না পড়লে ধর্ষিত হবেন। নারীদের প্রতি তার অনেক মন্তব্য আপত্তিকর। কম বয়সী মেয়েদেরও সে অশালীন মন্তব্য করত।
ওই যুবকের প্রকাশ করা বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও জনমনে তীব্র অস্বস্তি ও অসন্তোষ তৈরি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই বিষয়টি তুলে ধরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অবশেষে উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই যুবকের অবস্থান শনাক্ত করে সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।