ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটিই তিন ইউনিয়নের মানুষের একমাত্র ভরসা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুকানুপুর ইউনিয়নের সাথে তিনটি ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটির উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন তালুকানুপুর, রাখালবুরুজ ও নাকাই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজারের অধিক মানুষ চলাচল করে। ১৯৬২ সালে স্লুইস গেটটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৮ সালের বন্যায় স্লুইস গেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর থেকে কোনো সংস্কার ছাড়াই পরে আছে। বর্তমানে সেতুটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপরেও এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি তিনটি ইউনিয়নের মানুষের একমাত্র ভরসা।
স্থানীয় শিক্ষক আলম মিয়া জানান, ‘সেতুটি দিয়ে প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এই স্লুইচ গেটটি চালু থাকা অবস্থায় আমাদের ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে অল্প বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেতুটি এবারের বন্যা পর্যন্ত টিকবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তবে সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
নাকাইহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা জাফু মিয়া বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করি। সেতুটিতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে। তারপরেও প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই সেতু দিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও আমাদের এই সেতু দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে।’
জাফু মিয়া আরও বলেন, ‘দ্রুত এই সেতুটি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এই সেতুটি মেরামতের পদক্ষেপ নেয়।’
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা সুলতানা ইয়াসমিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে সেতুটি নির্মাণের ব্যয় বিবরণী তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’