নাটোরের লালপুরে রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

নাটোরের লালপুরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে পাকা রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অধীনে উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বেরিলাবাড়ি হাট থেকে রামপাড়া হাট পর্যন্ত এক হাজার ১৫০ মিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও পাথরের মিশ্রণের অনুপাতে গরমিলের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের মান খুবই খারাপ হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রকৌশলীদের সঙ্গে সখ্য করে নিম্নমানের পাথর ও ইট ব্যবহার করছে। এতে নতুন খোয়া ব্যবহার করার কথা থাকলেও ঠিকাদার তা করছেন না। ঠিকাদার পুরোনো সলিং রাস্তার ইটই খোয়া হিসেবে ব্যবহার করছেন।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, দরপত্র আহ্বানের পর ৪৮ লাখ সাত হাজার টাকা ব্যয়ে এই সংস্কারের কাজ পায় নাটোরের মেসাস খান কন্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজটি চুক্তিভিত্তিক কিনেছেন সোহেল রানা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রয়োজনীয় বিটুমিন না দিয়েই কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি পাথরের পরিমাণ কম দিয়ে বেশি পরিমাণে পাথরের ড্রাস্টের পরিবর্তে নিম্নমানের বালু ব্যবহার করছে। এ ছাড়া কার্পেটিং কাজে ২৫ মিলিমিটার থিকনেস ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোথাও কোথাও তার কম থিকনেস রয়েছে। কার্পেটিংয়ে মিক্সিং না করে সিলকোড ব্যবহার করছে। এইজিংয়ে ও সলিংয়ে খোয়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্ন মানের ও পুরোনো ইট।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম, জুয়েল রানা বলেন, রাস্তার কাজের মান খারাপ হওয়ায় সিলকোড দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে। আমরা চাই শিডিউল অনুযায়ী রাস্তার কাজ করা হোক।
সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী সোহেল রানা বলেন, ভালো সামগ্রী দিয়েই সড়কের কাজ করা হচ্ছে। উল্টো বাজেট না থাকলেও জায়গায় জায়গায় এক্সট্রা করে সিলকোড দিতে বলেছে ইঞ্জিনিয়ার স্যার। এতে আমাদের লস হলেও করে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে ঠিকাদারের কোনো সখ্য নেই। কাজ ভালো হচ্ছে। এটা হাতের কাজ, পাথর কম বেশি হতে পারে। আর বিটুমিট চেক করবে এক্সচেঞ্জ অফিস। কনটেন্ট খারাপ পেলে বিটুমিন আবার স্প্রে করে দিবে। কাজ সুন্দর করতে সিলকোড দিতে বলা হয়েছে। কাজের মান খারাপ হলে ঠিকাদার বিল পাবে না।