সাঘাটায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ভুট্টার আবাদ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, উন্নত জাতের বীজ ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার সাঘাটা, হলদিয়া, ভরতখালী ও পদুমশহর ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, ভুট্টা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, ‘এবার উন্নত জাতের ভুট্টা চাষ করেছি। গাছের অবস্থা খুব ভালো। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তাহলে ভালো ফলন হবে। ন্যায্যমূল্য পেলে তবেই আমরা লাভবান হব।’
অপর কৃষক গৌতম চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার আবাদ ভালো হয়েছে। এবার চার বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ফলন বেশি হওয়ায় দ্বিগুণ লাভের আশা করছি। আমার দেখাদেখি অনেকেই ভুট্টা আবাদে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগ থেকে নানা সহযোগিতা পাচ্ছি। এবার ভুট্টার চাহিদা বেশি। দাম ভালো থাকলে লাভবান হব।’
সাঘাটার কৃষাণী রেশমি বেগম বলেন, ‘আমরা এ বছর প্রথম ভুট্টা আবাদ করেছি। বাড়ির পাশের জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। এবার ভুট্টার দাম প্রতি মণ ১৪ থেকে ১৫ টাকা হলে ভালো লাভের আশা করছি।
কৃষকদের মতে, সরকারি সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণ পেলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে ভুট্টা আবাদ করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৮৩ হেক্টর, কিন্তু আবাদ হয়েছে ২ হাজার ২৪ হেক্টর। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছে।
সাদেকুজ্জামান আরও বলেন, কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, সার ও কীটনাশকের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৯০০ জন কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় দুই কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চর উন্নয়ন প্রকল্প ও রাজস্ব কার্যক্রমের আওতায় ভুট্টার প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে এবং কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।