রাজশাহীতে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার ও মিলনমেলা

কেউ শিক্ষক, কেউ ব্যাংকার, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আবার কেউবা কর্মরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে। পেশা তাদের ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, হতে পারে পড়ালেখার বিষয়ও ভিন্ন। কিন্তু তাদের সবার শেকড় একটা জায়গায় প্রোথিত। তারা সবাই এক সময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন।
এক সময় তাদের পদচারণে মুখরিত থাকত কলাভবন, বিজ্ঞানভবন, আইবিএ ভবন, অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ, মল চত্বর, ডাকসু ক্যাফেটারিয়া, টিএসসিসি, কিংবা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন।
আজ সময়ের পরিক্রমায় জীবনের নিয়মে ছড়িয়ে পড়তে হয়েছে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এদের মধ্যে যারা রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন তাদের নিয়ে প্রায় এক দশক আগে গড়ে ওঠে ‘প্রাণদ’ নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগে কর্মরত ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীরা ইতিপূর্বে নানা সময়ে সম্মিলিত হয়েছেন।
তেমনই একটি আয়োজন হয়ে গেল গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ)। এদিন রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে সীমান্তে অবকাশ নামক রিসোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থীর মিলনমেলা বসেছিল। উদ্দেশ্য ছিল প্রাণের সংগঠন প্রাণদকে আবার চাঙা করে তোলা এবং পবিত্র রমজান মাসে সবাই মিলে বসে ইফতারি করা।
গতকাল সন্ধ্যার এই মিলনমেলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক, রাজশাহীর বিভিন্ন কলেজে কর্মরত শিক্ষক, রাজশাহী ও আশপাশের জেলায় কর্মরত পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী অংশ নিয়েছিলেন। ইফতারির আগে প্রিয় শিক্ষাঙ্গনের স্মৃতিচারণে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। পাশাপাশি এ ধরনের সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আরও যোগাযোগ বৃদ্ধি করে একে অন্যের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন তাঁরা।

ইফতারির পরে প্রাণদ-এর নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কালাচাঁদ শীলের নেতৃত্বে প্রাণদ-এর নতুন কার্যনির্বাহী দল গঠনের প্রাথমিক কাজ করা হয়। শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ টিম তৈরি করা হবে। নতুন এই টিমের উদ্যোগে অচিরেই পূর্বের মতো আরেকবার প্রাণদ-এর রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন আয়োজন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।