মুক্ত পরিবেশে এবার ঈদ করবেন বিএনপির যেসব নেতা

গত বছরের ঈদুল ফিতরে বিএনপির অন্তত এক ডজন কেন্দ্রীয় নেতা কারাগারে ছিলেন। কেউ ‘নাশকতা ও ভাঙচুরের’ মামলায়, আবার অনেকই সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে কারাগারে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর অনেকেই এখন মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের অনেক কর্মী পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু দলটির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকে কারাগারে ঈদ দিন কাটাতে হয়।
গত বছর ২৪ ডিসেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম (পিন্টু) মুক্তি পান। প্রায় ১৭ বছর পর কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেলেন।
এর আগে ২০ আগস্ট চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী আট বছর পর জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় ৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ দিন কারাভোগের পর গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর জামিন মুক্তি পেয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও জামিনে মুক্তি পান। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ১৭ বছর পর লুৎফুজ্জামান বাবরের কারামুক্তি পান। ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন।
এছাড়া গত বছর ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আটক বিএনপি নেতারা বিভিন্ন সময়ে জামিনে মুক্তি পান। যারা হলেন— বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী সদস্য ও যুবদল সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ খোকন, উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ার, সাবেক কমিশনার হারুন অর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আজিজুর রহমান মুসাব্বির, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী জিয়াউদ্দিন বাসিত প্রমুখ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গত ঈদে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীর ঈদ কারাগারে কেটেছে। এবারের ঈদে প্রায় সবাই মুক্ত। অবশ্য এটা তাদের জন্য এবং তাদের পরিবারের জন্য অনেক আনন্দের।