ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

অল্প সময় বাকি, তারপরই জানা যাবে ঈদুল ফিতরের দিনক্ষণ। আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে তাই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশেষ গন্তব্য সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে রয়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এ ঘাট থেকে চাঁদপুর, ভোলা ও বরিশালের বিভিন্ন রুটে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।
আজ সদরঘাটে লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কেবিন, শোভন ও প্রথম শ্রেণির চেয়ার ভরে গিয়ে শত শত যাত্রী ডেকে বিছানা পেতে তাদের গন্তব্যে ফিরছেন। ঈদের আনন্দে ঘর ফেরার জন্য ভিড় ঠেলে যাত্রীরা কিছুটা কষ্ট হলেও স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর আশায় ঘরে ফিরছেন।
অনেক যাত্রীই আগেই কেবিনের টিকিট কিনেছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সংকটের কারণে তাদেরও ডেকে জায়গা নিতে হয়েছে। বিশেষ করে ভোলা, ইলিশা রুট, বরিশাল, পটুয়াখালী, হাতিয়া, চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোতে ছিল প্রচণ্ড ভিড়।
আগের বছরগুলোতে টিকিটের জন্য প্রচুর হাহাকার দেখা গেলেও, পদ্মা সেতুর কারণে সড়ক পথের উন্নতি হওয়ায় এবার একটু ভিড় কমেছে, তবে লঞ্চ মালিকরা জানান, তারা ঈদযাত্রার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন এবং সেবায় কোনো ঘাটতি হবে না।
নৌপথে নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীও সক্রিয় রয়েছে। সদরঘাটের বিভিন্ন স্থানে আনসার, নৌ-পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, যাত্রীদের সেবার জন্য বিশেষ লঞ্চ পরিচালনা করা হচ্ছে, যাতে সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে। তবে, বাস টার্মিনালগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ থাকলেও, লঞ্চে যাত্রীদের অভিযোগ ছিল না। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, লঞ্চ মালিকরা তাদের কাছ থেকে নিয়মিত ভাড়ার অতিরিক্ত এক টাকাও নেয়নি।
নৌযানে যাত্রীদের সেবা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে এবারের ঈদযাত্রা বেশ নির্বিঘ্নভাবে চলছে। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সদরঘাটে যাত্রীদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, নৌশ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দীর্ঘদিন অলস থাকার পর ঈদের ভিড় সামলাতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। তারা জানান, গত কয়েক বছরে যাত্রী কম থাকলেও, এবার ঈদ উপলক্ষে কিছুটা চাপ বেড়েছে।
লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ঈদের দুই-তিন দিন ভালো যাত্রী পাওয়া যায়, তবে এবার সড়কপথের উন্নতির কারণে চাপ কিছুটা কমেছে।