যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সমস্যা সমাধানে আশাবাদী অর্থ উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক সমস্যা সমাধানে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. সালেহউদ্দিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছি। আমরা আশা করি তারা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে, যেভাবে আমরা তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছি। সুতরাং, এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। আমরা আমাদের সমস্যা তুলে ধরেছি এবং আমি আশা করি এর সমাধান হবে।’
এর আগে গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) অধ্যাপক ইউনূস ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের আবেদন তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন, যাতে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে মার্কিন রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির উদ্যোগটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমরাই প্রথম দেশ যারা এই ধরনের সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’ তিনি চিঠিতে ফেব্রুয়ারিতে উচ্চতর প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানের ওয়াশিংটন সফরের কথাও উল্লেখ করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পর সরকার এখনো কোনো সাড়া পায়নি।
এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো—বাণিজ্য ঘাটতি কমানো বা দূর করা এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। কোন পণ্যের ওপর জোর দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে কমানো যায় সে সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ পরিচালনা করছি’।
‘আসলে এটি একটি অত্যন্ত পরিবর্তনশীল বিষয় এবং যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াও কিছুটা কঠিন। এটি বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের কৌশলগুলো ঠিক করব’, যোগ করে শেখ বশির।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রায় ১০০টি পণ্যের ওপর শূন্য আমদানি শুল্ক আরোপের সরকারের পদক্ষেপের ফলে তারা অবশ্যই ইতিবাচক কিছু আশা করছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় কঠোর পরিশ্রম করছি এবং বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে কমানো যায় তা সমাধানের চেষ্টা করছি।’