এয়ার টিকেটের কৃত্রিম সংকট, সরকারের হস্তক্ষেপ চায় আটাব

এয়ার টিকেটের দাম বেড়েই চলেছে। অভিযোগ আছে—অধিক মুনাফার লোভে সিন্ডিকেট, কালোবাজারি ও মজুতদারির মাধ্যমে কৃত্রিম আসন সংকট তৈরি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
এক মতবিনিময় সভায় আটাব নেতারা বলেন, টিকেট সিন্ডিকেট একটি অসাধু চক্র, যারা কালোবাজারি ও মজুতদারির মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফা লুটে নিচ্ছে। তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। টিকেট সিন্ডিকেটকে চিরতরে ট্রাভেল ট্রেড থেকে বিতাড়িত করতে না পারলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব না।
নেতারা আরও দাবি করেন, কিছু অসাধু ট্র্যাভেল চক্র এই সিন্ডিকেটচক্রের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রটি বর্তমান বৈধভাবে নির্বাচিত আটাব কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও বিভ্রান্তিকর তথ্যও ছড়িয়ে চলেছে।
সংগঠনটির সভাপতি আবদুস সালাম আরেফের সভাপতিত্বে ‘আটাবের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও এয়ার টিকেট সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আটাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান ইসি সদস্য আলহাজ্ব এইচ এম মুজিবুল হক সাকু, সাবেক মহাসচিব জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী দিপু, উপসচিব রুশো চৌধুরী, তোয়াহা চৌধুরী প্রমুখ। তারা জানান, আটাব বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর একমাত্র বাণিজ্যিক সংগঠন, যা ১৯৭৬ সাল থেকে দেশে প্রায় চার হাজার বৈধ ট্রাভেল এজেন্টের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে আসছে। সংগঠনটি সরকারের সঙ্গে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহর সঞ্চালনায় আটাব নেতারা ট্র্যাভেল ট্রেডের স্বার্থ ও দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে গণমাধ্যমকেও এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকার আহ্বান জানান।