ঈদে বাড়ি ফেরা হলো না বউ-শাশুড়ির

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার টু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের বিশনন্দী ফেরিঘাটে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভেতর থেকে অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে নিখোঁজ দুই নারীর মরদেহ। নিহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের ফারজানা বেগম (২৮) ও তাঁর শাশুড়ি খালেদা বেগম (৫৫)।
শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় ১০ ঘণ্টার টানা অভিযানে অটোরিকশাটির ভেতর থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করেন। একই সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিও নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন বলেন, ‘ঈদের দিনে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর ওই পরিবারটিসহ পুরো রসুল্লাবাদ গ্রামে এখন শোকের মাতম বইছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাছির উদ্দিন বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া দুই নারীর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য নৌপুলিশ কাজ করছে। এ বিষয়ে আড়াই হাজার থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
উল্লেখ্য, গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের সাগর মিয়া ঢাকা থেকে শনিবার ভোরে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে মা খালেদা বেগম, স্ত্রী ফারজানা বেগম ও ছোট ভাই কামাল মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আড়াইহাজার টু বাঞ্ছারামপুর বিশনন্দী ফেরিঘাটের আড়াইহাজার অংশে আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে অটোরিকশাটি ফেরিতে উঠতে গিয়ে মেঘনা নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়। সে সময় অটোরিকশা চালক কুদ্দুস মিয়া, যাত্রী সাগর মিয়া ও তার ছোটভাই কামাল মিয়া সাঁতরে তীরে উঠলেও বউ-শাশুড়ি নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।