‘আমি বাঁচতে চাই, পড়াশোনা করতে চাই’

মাত্র আট বছর বয়সের শিশু আবদুল্লাহর হৃদপিন্ডের ভেতর দুটি ছিদ্র নিয়ে চলছে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই। প্রথম শ্রেণিতে পড়া এই কোমলমতি শিশুর ইচ্ছা বন্ধুদের মতো স্কুলে যাওয়া, খেলাধুলা করা। কিন্তু অর্থাভাবে থমকে গেছে তার চিকিৎসা।
জানা গেছে, কালাই উপজেলার পূর্ব কৃষ্টপুর গ্রামের আনসার সদস্য হাসানের ছেলে আবদুল্লাহর হৃদপিণ্ডে একটি ৬.২৬ মিমি ও আরেকটি ২.৪৫ মিমি ছিদ্র ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া আব্দুল্লাহর সুস্থ হওয়ার উপায় নেই। এতে খরচ হবে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।
বাবার সামান্য বেতন ও দাদার ভ্যান চালানোর আয়েই চলে সংসার। ইতোমধ্যে সর্বস্ব বিক্রি করেও চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি। প্রতিবেশীরাও বলছেন, পরিবারটি আব্দুল্লাহর চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে।
আবদুল্লাহর বাবা হাসান বলেন, ‘আমার ছেলের হার্টে দুটি ছিদ্র ধরা পড়েছে। ডাক্তার দ্রুত অপারেশন করতে বলেছেন। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য আমার নেই। সমাজের সবার সহযোগিতা চাই।’
অসুস্থ আবদুল্লাহর আকুতি, ‘আমি বাঁচতে চাই, পড়াশোনা করতে চাই, স্কুলে যেতে চাই।’
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, এটি উচ্চতর চিকিৎসার বিষয়। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
আব্দুল্লাহর জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে- ব্যাংক একাউন্ট : হাসান, ২৬৮১০৩০০০১৭৫৬, ডাচ বাংলা ব্যাংক, নাটোর শাখায়।