মেঘনায় ফের বালু উত্তোলন : হুমকিতে মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষে আবারও ড্রেজার দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে মেঘনা-ধনাগোদা বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ। এ ঘটনায় বালু উত্তোলনের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবন্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার মেঘনা নদী এলাকার দশানী, ষাটনল, নাছিরা কান্দি, বোরচর এলাকায় প্রকাশ্যে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকো দুর্বৃত্তরা। এসময় স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু সন্ত্রাসী কিবরিয়া মিয়াজি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
স্থানীয় দশানী গ্রামের কৃষক আবদুল হালিম বলেন, দিনরাত মেশিন বসিয়ে বালু তোলে। নদীর পাড় ধসে আমাদের ফসলি জমি ও বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বেরিবাঁধ যদি ভেঙে যায়, তাহলে পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। অথচ কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আরেক বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনকে বারবার জানালেও কোনো ফল পাইনি। মনে হয় বালু সিন্ডিকেটের কাছে প্রশাসন জিম্মি।
পরিবেশবাদী সংগঠন মতলবের মাটি ও মানুষ এর পরিচালক শামীম খান বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন অবৈধভাবে ড্রেজার চলছে। এটি কেবল নদীভাঙন বাড়াচ্ছে না, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, মতলব উত্তরের সীমানায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত নদীতে অভিযান রেখেছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। ঘটনাস্থলে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড মোতায়েনসহ অচিরেই যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।