মার্কিন কূটনীতিকের সঙ্গে কী আলোচনা হলো বিএনপির

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। রোববার (২২ জুন) সকালে গুলশানস্থ চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাত হয়। সাক্ষাতকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
পরে আমীর খসরু সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উনি এসেছিলেন উনার টিম নিয়ে। সেখানে স্বাভাবিকভাবে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্কের বিষয়গুলো আছে বিশেষ করে ট্যারিফ নিয়ে… একটা বড় ট্যারিফ আমেরিকানরা বাংলাদেশের ওপর দিয়েছে সেটার ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে… এই ট্যারিফ বাংলাদেশ কীভাবে হ্যান্ডেল করবে।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে ট্যারিফের ব্যাপারে। আমরা এই ব্যাপারে সরকারের সাথে সহযোগিতা করে এই বিষয়ে একটা সমাধান করা দরকার বলে মনে করি। কারণ বাংলাদেশের পণ্যের ট্যারিফ যদি উচ্চমূল্য বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমাদের গার্মেন্টসের রপ্তানি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিএনপি এই বিষয়ে সরকারের সাথে কাজ করবো এবং সহযোগিতা করবো, যাতে ট্যারিফের বিষয়টার সুষ্ঠু সমাধান হয়।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে কীভাবে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু।
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
আমীর খসরু বলেন, স্বাভাবিকভাবে আলোচনা হয়েছে নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনের বিষয় ও বিএনপির প্রস্তুতিসহ আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা সে বিষয়ে বলেছি। লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রশংসা করা হয়েছে। সেই মিটিংয়ের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পারছে এবং ওই মিটিংয়ের ফলে যে দেশের মধ্যে বড় ধরনের একটা স্বস্তি এসেছে এবং নির্বাচনমুখী হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে আমীর খসরু বলেন, ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের বিষয়ে তো একটা মোটামুটি জায়গায় এসেছে… এটা তো স্বস্তির ব্যাপার। সবাই জানে যে, ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনের দিকে আমরা যাচ্ছি; সেটার একটা মোটামুটি দিনক্ষণ সিদ্ধান্তের সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশের যারা পার্টনার আছে তারাও একটা জায়গায় উপনীত হয়েছে যে, বাংলাদেশে ডেমোক্রেটিক প্রসেস বা অর্ডারের দিকে যাচ্ছে। কারণ তাদের ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা কী হবে তা গ্রহণ করতে সেই সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়ে যায়।