খালা শাশুড়িকে ধর্ষণের পর হত্যা, ভাগনি জামাই গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মোবাইলফোনের মাধ্যমে খালা শাশুড়ির (৫৪) সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে ভাগনি জামাই মো. সেলিম (৪৭)। ঈদুল আজহার সময় বাড়ি এসে মোবাইলফোনেই সেলিম তাকে ডেকে নেয়। ঘর থেকে বের করে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। পরে তার হাতের স্বর্ণের আংটি, কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে পালিয়ে যায় সেলিম।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আসামির বরাত দিয়ে ওই নারীকে হত্যার রহস্য উপস্থাপন করেন কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম। আসামি সেলিমকে সোমবার (২৩ জুন) রাতে রাজধানীর আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার আট দিন পর পুলিশ এই হত্যার আসামিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটন করে। সেলিমের কাছ থেকে ওই নারীর স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সেলিম কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের চরসামছুদ্দিন এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ শরবত বিক্রেতা ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেলিম ১৫ জুন রাতে মোবাইলফোনে কথা বলে খালা শাশুড়িকে ঘর থেকে বের করে নেয়। পরে পার্শ্ববর্তী নুরু মিয়া সর্দারের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রাতভর ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে তার হাতে থাকা তিনটি স্বর্ণের আংটি, কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে সেলিম পালিয়ে যায়। পরদিন দুপুরে স্থানীয় শিশুরা ওই বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত নারীর মেয়ে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে সেলিম পলাতক ছিলেন। পরে মৃত নারীর মোবাইলফোনের কল লিস্ট চেক করে পুলিশ আসামি সেলিমকে শনাক্ত করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে আশুলিয়া থানার বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। স্বর্ণালঙ্কারগুলো বটতলী এলাকার একটি স্বর্ণের দোকানে বন্ধক রাখা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে ওই জুয়েলার্স দোকান থেকে স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। অন্য কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’