ধরলার ভয়াবহ ভাঙনে নদীগর্ভে অর্ধশত ঘরবাড়ি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চরগোরকমন্ডল এলাকায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ও শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই আগেভাগে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিনের ভাঙনে জাবেদ আলী, মনসের আলী, আজিবর রহমান, আজগর আলীসহ অন্তত ৫০টি পরিবার সম্পূর্ণ ঘরবাড়ি হারিয়েছে। এখনও প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার নদীভাঙনের ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছেন।
চরগোরকমন্ডল গ্রামের বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সী আলা-বকস জানান, জীবনে অন্তত পাঁচবার ভাঙনে সবকিছু হারিয়েছেন। এখন শ্যালকের জমিতে ঘর তোলার চেষ্টা করছেন, কিন্তু টাকার অভাবে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভাঙন আবারও বাড়ির একদম কাছে চলে এসেছে। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না।
একই এলাকার জহুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন, তাদের বাড়ি থেকে নদীর দূরত্ব মাত্র ২০ গজ। যেকোনো সময় ঘরবাড়ি ভেঙে নদীতে চলে যেতে পারে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন জানান, গত বর্ষায়ও তীব্র ভাঙনে ৩০টি পরিবার ও অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা বিলীন হয়েছিল। তখন কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা টেকেনি। এখন অন্তত পাঁচশ’ পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে আবেদন জানানো হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আমাদের কাছে এই মুহূর্তে জিও ব্যাগ নেই। চরগোরকমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে জিও ব্যাগ লাগবে। জিও ব্যাগের বরাদ্দ এলেই সেখানে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।