শিক্ষার্থীদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বাশার : সিআইডি

বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) সিআইডির পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ এক বার্তায় জানান, খায়রুল বাশারকে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির একটি বিশেষ ইউনিট।
সিআইডি জানায়, খায়রুল বাশার দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্র গড়ে তোলেন। ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ’ এমন আশ্বাসের আড়ালে ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্রটি। চটকদার বিজ্ঞাপন, ভুয়া ভিসা প্রসেসিং, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া প্রতিনিধিত্বের নাম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরাসরি অফিসে এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে টাকা আদায় করে। তদন্তে দেখা যায়, প্রতারিত অনেক শিক্ষার্থীর নামে কোনো আবেদনই বিদেশি প্রতিষ্ঠানে করা হয়নি, আবার অনেকেই বিদেশে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে পড়েছেন বিপদের মধ্যে।
সিআইডি আরও জানায়, মামলাটির প্রাথমিক তদন্তকালে এখন পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছেন।
সিআইডির অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, আসামিরা গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ নিজেদের নামে ও অন্যদের নামে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করে তা দিয়ে স্থাবর সম্পদ ক্রয়, ব্যবসা পরিচালনা এবং অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে রাজধানীর গুলশান থানাসহ সারা দেশে একাধিক মামলা করেছে।
পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, সিআইডি আসামির বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অপরাধগুলো অনুসন্ধানপূর্বক প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৪) ধারায় গুলশান থানায় মামলা করে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।