বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, মানবিক ও দুর্নীতিমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে গড়তে চেষ্টা করছি। আজকে লাখ লাখ মানুষ সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের কথায় সাড়া দিয়ে বানের পানির মতো ছুটেছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া ফজরের নামাজ পড়েই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অংশ নিচ্ছেন।

আজ শনিবার (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্টেজের পাশে এসব কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, আমরা এখানে বসেই খবর পাচ্ছি ঢাকার আবদুল্লাপুর, গাজীপুরসহ বিভিন্ন সড়ক দিয়ে মিছিল নিয়ে ঢুকছে জনতা। অনেক জায়গায় গাড়ি ঢুকছে না, তাই মিছিল নিয়ে হেঁটেই সমাবেশে আসছেন।

সাময়িক দুর্ভোগের জন্য নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, আজকের সমাবেশের কারণে নগরবাসীর যে সাময়িক দুর্ভোগ হচ্ছে, তার জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করেছি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসনে জামায়াত কী উদ্যোগ নেবে জানতে চাইলে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমরা জুলাইয়ের প্রথম বার্ষিকী পার করছি। জুলাই যোদ্ধাদের আমরা কথা দিয়েছিলাম, তাদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনের দায়িত্ব আমরা নেবো। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই— জামায়াত একমাত্র দল, যার আমিরে জামায়াত বলেছিলেন ‘যারা শহীদ হচ্ছেন তারা আমাদেরই শহীদ’। আমিরসহ আমরা সবাই জুলাই যোদ্ধাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছি। আর্থিক সহযোগিতা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী করেছি। অন্যান্য দলও করেছে তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সরকারও করেছে, তবে অনেক পরে। সরকার তাদের প্রতি দায় এখনো শেষ করতে পারেনি।

আমাদের নেতাকর্মীদের ১০ টাকা থেকে হাজার টাকার দেওয়া অনুদানে আমরা এসব সহযোগিতা করেছি উল্লেখ করে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, আহতদের জন্য আমরা ছুটে গিয়েছি। আল্লাহ আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আমরা শহীদ ও আহত পরিবারদের পরিপূর্ণ মর্যাদা, চিকিৎসা, পুনর্বাসন করবো।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও ঘোষণা ছাত্র জনতার আকাঙ্ক্ষা। আমরা বলেছি এই সনদ ঘোষণা করে এর একটি আইনি ভিত্তি দিতে হবে। শুধু ঘোষণা হলে হবে না। আজকের জনসভায় এটিও আমাদের একটি অন্যতম দাবি।